বিশ্বজুড়ে প্রতিনিয়তই নানা প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে। এর মধ্যে কিছু আছে অদ্ভুত, আবার কিছু উদ্ভটও। যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়স অঙ্গরাজ্যের লেক কাউন্টির লিঙ্কনশায়ার গ্রামের সোয়াটনে ১০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় ‘বিশ্ব ডিম ছোড়া প্রতিযোগিতা’। তবে এটিই কিন্তু প্রথমবার নয়। এর আগেও বসে ১৯টি আসর। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা এতে অংশগ্রহণ করেন। ২০০৫ সালে প্রতিযোগিতার শুরু। এ বছর বিজয়ী হয় নিউজিল্যান্ড।
খেলায় প্রতি দলে থাকেন দুজন করে। একজন টচার (যিনি ছুড়ে মারবেন), অন্যজন ক্যাচার (যিনি ধরবেন)। প্রতিযোগীরা মুখোমুখি দাঁড়াবেন। প্রতিবার ডিম ছোড়ার পর তাদের দূরত্ব ১০ মিটার করে বাড়তে থাকে। যে জুটি সর্বোচ্চ দূর থেকে কোনো ডিম না ভেঙে ধরে ফেলতে পারবে, তারাই গ্রান্ড ফিনালে পৌঁছাবে। এরকম পাঁচ জোড়া প্রতিযোগী নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় চূড়ান্ত পর্ব।
এ বছর বিশ্ব ডিম ছোড়া প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন ব্রিটিশ নাগরিক জো উলসন ও ব্রাড গ্রিনউড জুটি। এর আগেও তিনবার বিজয়ী হন তারা। সঠিক ডিম নির্বাচনকেই নিজেদের একহালি সাফল্যের গোপন মন্ত্র বলে দাবি তাদের।
বিজয়ীরা জানান, পুরোপুরি গোল ডিম নেওয়া যাবে না, নিতে হবে তুলনামূলক ছোট আর লম্বাটেগুলো। আর ক্যাচের সময় খুব সাবধানে নরম হাতে ছোট্ট লুপ তৈরি করে ধরতে হবে।
এদিকে, ওয়েব সাইটের পরিচিতিমূলক ভিডিওতে বলা হয়েছে, এটা হয় বর্শা বা তীর ছোড়ার মতো সিরিয়াস খেলা না হলেও এটা কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।
বিশ্ব ডিম ছোড়া ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ডি ডানলপ বলেন, অনেকে বলেন—এটা আবার কোনো খেলা হলো? তাদের বলব, এখানে প্রতিবার দূরত্ব বাড়ে। অন্য প্রান্তে দাঁড়ানো প্রতিযোগীকে তার সঙ্গীর ছোড়া ডিমটি একেবারে অক্ষত অবস্থায় ঠিকঠাক ধরে ফেলতে হয়। তীর বা বর্শা ছোড়া প্রতিযোগিতায় নিশ্চয়ই অন্য প্রান্তে সেটি ধরার জন্য কেউ চেষ্টা করে না।