বাংলাদেশ কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে : মাহমুদুর রহমান।

বিশ্বের যে কোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা অনেক নিরাপদ ও সম্মানের সঙ্গে আছে বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কারণ হিন্দুত্ববাদী ভারত কোনোদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি। মহান জুলাই বিপ্লবে বাংলাদেশ প্রকৃত স্বাধীনতা লাভের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের পতনের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের হেজেমনিরও পরাজয় শুরু হয়েছে। আর এটা মেনে নিতে না পেরে ভারত ৫ আগস্টের পর থেকে নানা ষড়যন্ত্র করছে। বর্তমানে তারা সংখ্যালঘু কার্ড ব্যবহার করে ষড়যন্ত্রের অপচেষ্টা করছে। অথচ এদেশের সংখ্যালঘুরা অনেক নিরাপদে আছে। এদেশের আলেম থেকে শুরু করে সংখ্যা গরিষ্ঠরা সবসময় তাদের নিরাপত্তা দিয়ে আসছে। উল্টোদিকে ভারতের সাধুরা মুসলিমদের হত্যার দাবি করে। এই হচ্ছে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পার্থক্য।

সোমবার (০২ ডিসেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চে এক প্রতিবাদী কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন। ঐতিহাসিক শহীদ বাবরী মসজিদ দিবস উপলক্ষে এ প্রতিবাদী কনফারেন্স আয়োজন করে যুব ফোরাম।

https://my.visme.co/_embed/1jv47n39-rits-browser-320×50

এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশে অবস্থিত হিন্দুরাও এদেশেরই নাগরিক এবং তাদের সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়া মুসলমানদের কর্তব্য। তাই বাংলাদেশের হিন্দুদের দিকে না তাকিয়ে, ভারতে মুসলিমদের দিকে মোদিকে নজর দিতে বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ভারতে প্রতিনিয়ত মুসলিম নির্যাতনসহ মসজিদ ধ্বংস করা হচ্ছে। যারা নিজের দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে, তাদের কোনো নৈতিক অধিকার নেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে কথা বলার। তিনি ভারত তথা সমগ্র বিশ্বে মুসলিমদের নির্যাতন নিপীড়নের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, এদেশের তৌহিদি জনতা ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করে ভারতীয় হেজেমনিকে উৎখাত করেছে। তারা আর কোনোদিন ভারতীয় হেজেমনি বা শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদকে এদেশে প্রত্যাবর্তন করতে দেবে না। কারণ ছাত্র-জনতা জানে কীভাবে স্বাধীনতা রক্ষা করতে হয়।

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক কিংবা ধর্মীয় বিষয়ে বিভাজন থাকতে পারে কিন্তু দেশের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তাহলে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হতে পারবে না। যদি ফাটল থাকে তাহলে ফ্যাসিবাদ আবারো প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা করবে।

যুব ফোরাম আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব সাজিদুর রহমান। জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি মুবারকুল্লাহর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন হেফাজতে ইসলামে যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য আতাউল্লাহ ইসলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *