বাগেরহাট প্রতিনিধি :
বাগেরহাটে নিজ স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেনভুক্তভোগী স্বামী বাদল দাস এসময় তার পাশের উপস্থিতছিল স্ত্রী দিপা রায় ও শিশু সন্তান। সোমরার (২৪ মার্চ) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ পাট করেন বাদল দাস।সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী স্বামী বাদল দাস অভিযোগ করে বলেন, লিখিত অভিযোগেবলেন, আমার পৈত্রিক জমি নিয়ে আমার ভাই ও বোনদের সাথে বিরোধ হয়। আর ওইবিরোধের জের ধরে গত ২০১৮ সালে আমি আমার বিষখালি বাধাল বাজারে বসবাস করাঅবস্থায় পৈত্রিক বাড়ী থেকে আমার ভাই জগবন্ধু দাস, বোন সুমা রানী দাস ওকৃষ্ণা রান দাস, প্রতিবেশী পার্থ দাস ও ইউপি সদস্য সাধন দাস তাদের সঙ্গীয়লোক নিয়ে আমার স্ত্রী ও ৬ মাস বয়সের সন্তানসহ বাড়ী থেকে বের করে দেয়।আমাদের বাড়ী থেকে বের করে দেওয়ার পরে আমি বিশখালি গ্রামে আমাদের আর একটিভিটায় নতুন করে বাড়ী নির্মাণ করে সেখানে বসবাস শুরু করি। কিন্তুপ্রতিপক্ষগণ আমাদের সেখানেও বসবাস করতে দেওয়া হয় নাই এবং বিভিন্নভাবে হামলাও মামলার, বাড়ীতে অগ্নী সংযোগ শারিরীক নির্যাতনকরে আহত করার ঘটনা ঘটানোহয়ে। এরই ধারাবাহিকতায় আমার স্ত্রীকে ধর্ষন করা হয়েছে এই ঘটনায় আদালতেএকটি মামলা চলমান আছে। ্এসব করে আমার পৈত্রিক সম্পত্তি হইতে বঞ্চিতকরায়পায়তারা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিপক্ষরা দীর্ঘদিন ধরিয়া অন্যায়বেআইনিভাবে জোর দখলের পাঁয়তারা করিতেছে। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করেপ্রতিপক্ষের সহায়তায় আরো অজ্ঞাত নামা ১০ থেকে ১২ জন মাস্তান বাহিনী নিয়েগত৬ মার্চ আমার বসতঘরের সকল মালামাল লুটে নেয়। এদিন সকালে আমার স্ত্রীবসতবাড়ীতে তালাবদ্ধ করে আমার শিশু বাচ্চাকে নিয়ে প্র্রতিদিনের ন্যায়বাগেরহাট শহরে শাহিন স্কুলে নিয়ে আসে এবং অনুমান দুপুর ১২ ঘটিকায় সময়বাড়ীতে গিয়ে দেখতে পায় আমার ঘরের তালা ভাঙ্গা। আমার ঘরে থাকা ব্যবহারেরআসবাবপত্র বাহিরে রাখা এবং আমার ঘরের মালামাল তছনছ অবস্থায় আছে আমার ঘরেরক্ষিত নগদ ১০ হাজার টাকা, স্বর্নের ২টি হাত বালা যাহার মূল্য ৫০ হাজারটাকা, ১টি স্বর্ণের একটি আংটি যাহার মূল্য ২৫ হাজার টাকা প্রতিপক্ষগণআত্মসাৎ করে। এছাড়া ঘরে থাকা মূল্যবান প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নাই। প্রকাশ্যদিবালোকে আমার ভাইয়ের হুকুমে অজ্ঞাতনামা বহিরাগত ব্যক্তিগণ আমার স্ত্রীকেজোরপূর্বক টানা হেঁচড়া করেতার মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেয় এবং শারীরিক ভাবেহেনাস্তা করে। জোরপূর্বক আমার শিশু ছেলেকে নিয়ে যায়। আমার স্ত্রীর ডাকচিৎকার করা সত্বেও তার চিৎকারে কেহ সাড়া দেয়নি সন্ত্রাসীদের ভয়ে। পরেপ্রতিপক্ষরা ভাড়া করা গুন্ডাবাহিনী দিয়ে আমার ঘরের মালামাল ৬টি ভ্যানযোগেবাগেরহাট সার্কিট হাউস সংলগ্ন অ্যডভোকেট আবু জাফর সাহেবের বাসা ভাড়াকরিয়া উঠাইয়া দেয এবং হুমকী দিয়ে বলে যে বিষয়টি নিয়ে কোন মামলা মোকদ্দমাকরিলে বাগেরহাট ছাড়া করিবো তোর বাচ্চাকে অপহরণ করা হবে। প্রয়োজনে মিথ্যাএকাধিক মামলা মোকদ্দমা করিয়া হয়রানি করিব। প্রতিপক্ষরা একাধিকবার হুমকিধামকি প্রধান করে আসিতেছে। তিনি আরো অভিযেগ করেন. আমি আমার শিশুসন্তানসহ পরিবারবর্গ দারুণভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি কোথাও কোনভাবেআইনের আশ্রয়ও নিতে পারছিনা। তাই উপায়ন্তর না পেয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায়ভুগছি। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবিজানান ভুক্তভোগী ওই নারী ও তার স্বামী।